সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম অধ্যায় 3 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |
1. গিরিখাত ও ক্যানিয়ন
1)পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদীর ক্ষয়কাজের ফলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়।
2)পার্বত্য অঞ্চলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় খুব বেশি বলে নদী-উপত্যকা খুব গভীর ও সংকীর্ণ আকৃতি লাভ করে, একে গিরিখাত বলে
3) পার্বত্য প্রবাহে নদীর উপনদী সংখ্যা খুব কম থাকে বলে, নদী-উপত্যকা খুব চওড়াও হয় না।
4)বৃষ্টিহীন শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে নিম্নক্ষয়ের দ্বারা নদী-উপত্যকা খুব সংকীর্ণ ও গভীর ‘T’ আকৃতি লাভ করলে, তাকে বলে ক্যানিয়ন।
2. জলপ্রপাত
1)নদীর পার্বত্য বা উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কাজের ফলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
2)নদীর গতিপথেশক্ত আর নরম শিলা উল্লম্ব বা অনুভূমিকভাবে থাকলে, নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে, ফলে শক্ত আর নরম পাথরের মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়। নদী তখন শক্ত পাথরের ওপর থেকে নীচে দ্রুতগতিতে পতিত হয়। একে জলপ্রপাত বলে।
3)কর্ণাটক রাজ্যের সরাবতী নদীর যােগ বা গেরসােপ্পা জলপ্রপাত ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত।
3. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
1)নদীর মধ্যপ্রবাহ বা সমভূমি প্রবাহে ক্ষয় এবং সঞ্চয় উভয় কাজের ফলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ গঠিত হয়।
2)সমভূমিতে ভূমির ঢাল কমে যাওয়া এবং জলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়।
3) নদীর বাঁকের উত্তল দিকে ক্ষয়কাজ হয় এবং অবতল দিকে সঞ্চয়কাজ চলে।
4) ফলে নদীতে বাঁকের পরিমাণ বাড়ে এবং কখনাে-কখনাে এই বাঁকের একটি অংশ মূলনদী থেকে ক্ষয়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
5)আলাদা হওয়া অংশটি ঘােড়ার খুরের মতাে দেখতে হয় বলে, একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।নদী প্রবাহের দিক সঞয় সঞয়। সঞয়। হদ
6) যেমন গঙ্গানদীর সমভূমি ও নিম্নপ্রবাহে অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ আছে।
4) মিয়েন্ডার
1) নদীর মধ্যগতিতে মিয়েন্ডার বা আঁকাবাঁকা নদীপথ গঠিত হয়।
2) সমভূমিতে ভূমির ঢাল কমে যায় এবং জল ও বােঝার পরিমাণ বাড়ে।
3) নদীর শক্তি কমে যাওয়ায় নদী সামান্য বাধাও অতিক্রম করতে পারে না, ফলে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়।
4) এই আঁকাবাঁকা নদীপথকে তুরস্কের মিয়ান্ডারস নদীর নাম অনুসারে মিয়েন্ডার বলে।