ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস 6//Geography Model Activity Task Class 6
![]() |
ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস 6//Geography Model Activity Task Class 6 |
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তর আছে –
ক) ট্রপোস্ফিয়ারে
খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
গ) আয়নোস্ফিয়ারে
ঘ) এক্সোস্ফিয়ারে
১.২ আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো –
ক) পাইন
খ) শাল
গ) মস
ঘ) সেগুন
১.৩ ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো –
ক) মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি
খ) মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি।
গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম।
ঘ) মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির হয়।
২.২ নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে পর্ণমোচী উদ্ভিদ বলে।
২.৩ সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা পরিযায়ী পরিচিত।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ বারিমণ্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
উঃ- সৃষ্টির বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরেটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে সেই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো ভরাট হয়ে সাগর মহাসাগর তৈরী হয়। পৃথিবীতে এইভাবে এই বিশাল জলভাণ্ডার বারিমণ্ডল সৃর্ষ্টি হয়েছে।
৩.২ ভারতে শীতকাল কেন শুষ্ক প্রকৃতির হয়?
উঃ- ভারত মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত। মৌসুমী বায়ু আগমন কালে সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসে বলে বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমান যথেষ্ট বেশি থাকে। এই জলীয়বাষ্প পূর্ণ বায়ুর জন্য গ্রীষ্মকাল আর্দ্র হয় এবং এই বায়ুই বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে প্রায় জলীয়বাষ্প শূন্য হয়ে যায়। শীতকালে এই বায়ু স্থলভাগ থেকে প্রত্যাবর্তন করে এবং বায়ুতে জলীয়বাষ্প কম থাকার ফলে শীতকাল ভারতে শুষ্ক হয়ে থাকে ।
৪. বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।
উঃ- পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অনুগুলির অবিরাম সংঘর্ষে সমুদ্র পৃষ্ঠে প্রতি একক স্থানের উপর যে বল প্রয়োগ করে তা হল বায়ুচাপ। বায়ুচাপের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হল উষ্ণতা। উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর অণুগুলি প্রসারিত হয়, ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় এবং বায়ু চাপ কম দেয়। উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর চাপের পরিবর্তন হয়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে বায়ুর কণাগুলি অধিকাংশ ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করে বলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি এবং ওই বায়ুর চাপ বেশি। এই কারণে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয় ও উষ্ণ সমতলে বেশি থাকে । আবার, বায়ুচাপের তারতম্যই হল বায়ুপ্রবাহের মূল কারণ। বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে বয়ে যায়। বায়ুচাপের পরিবর্তনের কারনেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। গভীর নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি করে- ঝড়, বৃষ্টি, তুষার ঝড় হয় ।
Keyword:-