সুস্থ থাকতে খাওয়া উচিত শাক-সজী
খােসা ছাড়ালে তরকারির খাদ্য গুণ কমে যায়।খােসা ও খােসার নীচেই আছে শরীরের ভিটামিন ও খনিজ যার পুষ্টিগুণ ভেতরের শাসের চেয়ে কম নয়।
ভিটামিন নষ্ট না কর বার কয়েকটি উপায় নিম্নরূপ
- তরকারিকুটে নেওয়ার পরেনা ধুয়েতরকারি কোটবার আগেই জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
- কুটে নেওয়ার পর তরকারি জলে ভিজিয়ে বেশিক্ষণরাখবেন না।
- রান্নাকরবা খুব বেশিক্ষণ আগে তরকারি কুটবেন না।
- খুব পাতলা পাতলা করে টুকরােকরবেন না কুরুনি দিয়ে কুড়বেননা।
- তরকারি কোটবার পর যাতে বেশি রােদেরও অতিরিক্ত হাওয়া সংস্পর্শে না আসে সেদিকেলক্ষ্য রাখতে হবে।
- লেটুস পাতা জাতীয় শাক ও দু-তিন রকম তরকারি মিশিয়ে নুন ছাড়া স্যালাড খান।
- পরিবেশনের ঠিক আগেই স্যালাড তৈরি করবেন
- ভিটামিন, খনিজ যা প্রকৃতি থেকে শাক-সবজি, ফল মূল ইত্যাদির মধ্যে পাওয়াযায় সেগুলাে বেশি খেয়ে ফেললেওক্ষতিগ্রস্থহওয়ার ভয় নেই।
সুস্থ থাকতে কঁচকলা ও কলাগাছ
- পেটের অসুখে,আমাশয় ওরক্ত আমাশয় কাচকলা সেদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে সপ্তাহ মেখে সকালে খালি পেটে খেলে রােগ সারে।
- কলা গাছের শুকনাে শেকড় গুড়াে করে অল্প পরিমাণে ১মাস খেলেপিত্ত রােগসারে ৩ বিকেলে কলাগাছের শেকড়ের আধকাপরসের সঙ্গে ১ চামচ ঘি ও চিনি মিশিয়ে নিয়ম করে ১বছর খেলে প্রস্রাবের অসুখ বা মেহ রােগ সারে।
- কঁচকলা শুকিয়ে গুড়ােকরে প্রতিদিন ১ কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ৬মাস নিয়মিত খেলে যৌন ব্যাধি সারেও প্রস্রাবের অসুখ সারে।
- একেবারে কচি কলাপাতা ১টি মিহি করে বেটে ১ কাপদুধেমিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতাে করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রােগে উপকার হয়।
সুস্থ থাকতে চালকুমড়াে
- কুমড়ােবাচাল কুমড়াে খেলে পরিশ্রম করবার ক্ষমতা বেড়ে শরীর পুষ্টহয়।
- এই সজ্বি বল কারক, পুষ্টিকর,ফুসফুস ও ভাল রাখে চাল কুমড়াের বীজ কৃমিনাশ করে
- ২-৪ চা চামচ চাল কুমড়াের রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে খেলে অম্বল ব অজীর্ণ রােগ সারে ৪মাস খেতে হবে। মৃগী ও উন্মাদ রােগের পক্ষেও এটি উপকারী।
- ডায়বেটিসে চালকুমড়াের রস খাওয়া অতি হিতকর। চাল কুমড়াের মােরব্বা, হালুয়া অবলেহ ও চাল কুমড়াের বীজের লাড্ড অনেক রােগ সারিয়ে তােলে।
সুস্থ থাকতে পটোল
- নিয়ম করে ১ বছর পটোলের তরকারি খেলে হজম করবার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- কাশি, জ্বর ও রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্ত বিকার সারে। দীর্ঘ ২মাস খেতে হবে।
- তেতাে পটোলের ১ চাম ক্কাথ তৈরী করে মধু মিশিয়ে ৩ মাস খেলে পিত্তজ্বর সারে, তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে।
- তেতাে পটোলের শিকড় ২০গ্রাম সেদ্ধ করে সেই জল চিনি মিশিয়ে খাওয়ালে ও পিত্ত জ্বরে উপকার হয়। এই পথ্য ৪০ দিনকরলে উপকার পাবেন।