Class 9 Model Activity Task History (September) Part 6 Question & Answers // মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণি ইতিহাস পার্ট–৬ সেপ্টেম্বর (All subject September Model Activity Task Class -9)
![]() |
Class 9 Model Activity Task History (September) Part 6 Question & Answers |
১. ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মেলাও :
উঃ–
ক স্তম্ভ |
খ স্তম্ভ |
১.১.ভার্সাই চুক্তি |
গ) ১৯১৯ খ্রি: |
১.২.মহামন্দা |
ঘ)১৯২৯ খ্রি: |
১.৩.চোদ্দো দফা শর্ত |
খ)১৯১৮ খ্রি: |
১.৪.স্পেনের গৃহ যুদ্ধ |
ক)১৯৩৬ খ্রি: |
২.সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো:
২.১. রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা নামে পরিচিত। সত্য
২.২. ভাইমার প্রজাতন্ত্র জার্মানিতে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী সরকার যার কার্যকাল ছিল হাজার ১৯১৯–১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত । মিথ্যা
২.৩.চোদ্দো দফা নীতি ঘোষণা করেন লেলিন । মিথ্যা
২.৪.লীগ অব নেশনস গড়ে ওঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের । মিথ্যা
৩.দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১.এমস টেলিগ্রাম কী ?
স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রশ্ন নিয়ে প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়ামের সাথে ফরাসি রাষ্ট্রদূত কাউন্ট বেনেদিত্তের যে আলাপ–আলোচনা হয়, তা কিছুটা এমনভাবে বিকৃত করে বিসমার্ক সংবাদপত্র মারফত প্রচার করেন যে সেখানে মনে হচ্ছিল প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি দূতকে অপমান করছে। এতে ফরাসি জনগন রেগে গিয়ে ফরাসি রাজকে যুদ্ধের জন্য চাপ দিলে বিসমার্কের আসল উদ্দ্যেশ্য সফল হয়। বিসমার্ক কৃত এই বিকৃত, প্রচারিত টেলিগ্রাম ইতিহাসে ‘এমস টেলিগ্রাম‘ নামে পরিচিত।
৩.২.প্যারি কমিউন গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল ?
প্যারি কমিউন গঠনের উদ্দেশ্য গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল –
i) প্যারিস নগরীর বিপ্লবী পৌর প্রশাসন পরিচালনা করা ।
ii) প্যারিসের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি।
iii) সমগ্র ফ্রান্সের উপর প্যারি কমিউন এর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা
৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিষমার্কের ভূমিকা লেখো ।
জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিষমার্কের ভূমিকাঃ–
বিসমার্ক বুঝেছিলেন একমাত্র প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। সে কারণে তিনি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন ।
রক্ত ও লৌহ নীতিঃ– অটো ফন বিসমার্ক ছিলেন একজন সুশিক্ষিত তীক্ষন বুদ্ধি সম্পন্ন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন তিনি রক্ষণশীল অদম্য ইচ্ছা শক্তির অধিকারী। বিসমার্ক বুঝেছিলেন একমাত্র প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। সেই কারণেই তিনি 1862 খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণ করেন। প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিসমার্ক জার্মানির ঐক্য সাধনের জন্য যে নীতিটি প্রয়োগ করেন তা ‘লৌহ ও রক্ত’ নীতি নামে পরিচিত। এই নীতির মূল কথা হল উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে হবে। বিসমার্ক মনে করতেন একমাত্র যুদ্ধের মাধ্যমেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব এই জন্য তিনি অল্প সময়ের মধ্যে প্রাশিয়ার বাহিনীকে ইউরোপের অন্যতম সেরা বাহিনীতে পরিণত করেন। প্রাশিয়ার আইন সভায় তিনি ঘোষণা করেন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বক্তৃতা বা ভোটের দ্বারা হবে না, তা করতে হবে রক্ত ও লৌহ নীতি দিয়ে।
রক্ত ও লৌহ নীতির প্রয়োগ :– বিসমার্ক যুদ্ধের অনুকূল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ১৮৬৪ থেকে ১৮৭০ এই ছয় বছরের মধ্যে তিনটি যুদ্ধের সাহায্যে জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ করেন।
ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ :- প্রথমে শ্লেজউইগ ও হলস্টেন পুনরুদ্ধারের জন্য বিসমার্ক অস্ট্রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (1864 খ্রিস্টাব্দ) করেন এবং ডেনমার্ক পরাজিত হয়। গ্যাস্টিনের সন্ধি দ্বারা প্রাশিয়া পায় শ্লেজউইগ, অস্ট্রিয়া পায় হলস্টেইন।
অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ :- গ্যাস্টিনের সন্ধি এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে শীঘ্রই অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। সেজন্য বিসমার্ক আগাম প্রস্তুত ছিলেন। 1866 খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া স্যাডোয়ার যুদ্ধে অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে। ফলে উত্তর ও মধ্য জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রাধান্য দূর হয়।
ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ :- এরপর দক্ষিণ জার্মানি থেকে ফ্রান্সের প্রাধান্য দূর করার জন্য বিসমার্ক 1870 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়ে জার্মানি ত্যাগ করে।
মূল্যায়ন:- এইভাবে বিসমার্কের ইতিবাচক নেতৃত্বে জার্মানির রাষ্ট্রীয় ঐক্য সম্পন্ন হয়। এই নবগঠিত জার্মানির রাজা হন প্রথম উইলিয়াম।