Geography Model Activity Task Class 10 III (September) Part 6 Question & Answers // মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণী ভূগোল সেপ্টেম্বর (All subject September Model Activity Task Class
![]() |
Geography Model Activity Task Class 10 III (September) Part 6 Question |
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলো –
উ:-গ) বালিয়াড়ি
১.২ ঠিক জোড় টি নির্বাচন করো
উ:- গ) আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ- মেহগনি
১.৩ ভারতের রূঢ় বলা হয়
উ:- (খ) দুর্গাপুরকে
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো :
২.১ নদী খাতের অবঘর্ষে প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্তগুলি হলো মন্থকূপ ।
উ:- ঠিক
২.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনের বেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয় ।
উ:- ভুল
২.৩ শুষ্ক ও উষ্ণ অবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ ।
উ:- ভুল
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ‘অক্ষাংশ ভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয় ।’ – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো । ২
উ:- ভূপৃষ্ঠের যে উচ্চতার উপরে সারাবছর বরফ জমে থাকে, অর্থাৎ জল তরল অবস্থায় থাকে, উচ্চতার সেই সীমারেখা টিকে বলা হয় হিমরেখা। অক্ষাংশ ভেদে হিমরেখা উচ্চতা ভিন্ন হয়। এর কারণগুলি হল– উচ্চ অক্ষাংশের তুলনায় নিম্ন অক্ষাংশে উষ্ণতা বেশি হয়। সেই কারণে হিমরেখার উচ্চতাও উচ্চ অক্ষাংশে বেশি হয়। যেমন– মেরু অঞ্চলে হিমরেখার অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ২০০০–২৫০০ মিটার, ক্রান্তিয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে যথাক্রমে ৪০০০–৪৫০০ মিটার এবং ৫৫০০ মিটারের উপরে থাকে ।
৩.২ হিমালয় পর্বমালা কিভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
উ:-হিমালয় পর্বমালা ভারতীয় জলবায়ুকে বেশ কিছু দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করে।
i. হিমালয় পর্বত অবস্থানের কারণে শীতকালে মধ্যে এশিয়ার অতি শীতল বায়ু ভারতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শীতকালে ভারত অধিক শৈত্যের হাত রক্ষা পায়।
ii. অধিক উচ্চতার কারনেই উপক্রান্তিয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও হিমালয়ের জলবায়ু হয়েছে শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির। কোনো কোনো অংশের জলবায়ু অত্যন্ত শীতল তুন্দ্রা প্রকৃতির।
iii. হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে দখিন–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শৈলৎক্ষেপ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটায়। মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তিতেও পরোক্ষভাবে হিমালয়ের প্রভাব রয়েছে।
৪. ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি উল্লেখ করো । ৫
উ:- ভারতের প্রায় ৩১ ভাগ মানুষ শহরে বাস করলেও এদেশের শহর ও নগরগুলি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন।
i. অপরিকল্পিত নগরায়ন : শহরগুলি যেমন অপরিকল্পিত ভাবে বিস্তৃত হয়েছে। তেমনি জনসংখ্যা বেড়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এটি নগরায়নের মূল সমস্যা। অতিরিক্ত জনসংখ্যা শহরের অরথনিতিকে দুর্বল করেছে এবং শহরের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। শহর ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে শহরতলীয় কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে।
ii.মানুষের শহরমুখী প্রবণতা : ভারতীয় গ্রামের অর্থনীতির ভিত দুর্বল বলেই ভালো কাজের সুযোগের আশায় মানুষ গ্রাম থেকে মানুষ ছোটো শহরে, ছোটো শহর থেকে বড়ো শহরে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে।
iii.বসতির সমস্যা : অধিক জনসংখ্যার কারনেই শহরে বসবাসের সমস্যা খুব বেশি। স্বল্প পরিসর বাড়ি বা ছোটো ছোটো ঘরে ঠাসাঠাসিভাবে অনেক মানুষকে একসাথে থাকতে হয়।
iv.বস্তি সমস্যা : বড়ো শহরগুলির বস্তির সমস্যা গভীর। দেখা গেছে বড়ো শহরগুলির প্রায় ২৫-৩০ ভাগ মানুষ বস্তিবাসী। স্বল্প পরিসর থাকার জায়াগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পানীয় জলের সমস্যা, পয়ঃপ্রণালী সমস্যা, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বস্তিগুলোর নিত্যদিনের সমস্যা।
v.পরিবহণ : শহরগুলির আয়তনের তুলনায় রাস্তার দৈর্ঘ্যে অনেক কম। ফুটপাতের অভাব, সংকীর্ণ রাস্তার কারণে যানবাহনের গতি অনেক ধীর।
vi .স্বাস্থ্য : বস্তি অঞ্চলগুলির পরিবেশ একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। অন্যদিকে কলকারখানা ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে শহরে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে শহরবাসীর বিশেষ করে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বেশ বেশি।
vii . শিক্ষা : অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্ভব নয়।
viii . বিদ্যুৎ : অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শহরে প্রায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যায়।
ix . নিকাশি সমস্যা : ভারতে এমন কোণও শহর খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে জলনিকাশির সমস্যা নেই। অপরিকল্পিতভাবে শহর গরে ওঠা এর মূল কারণ। বর্ষকালে নিকাশি সমস্যা আরও প্রকট হয়। বর্ষায় জল জলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে ।