Class 8 Geography compilation model activity task
Table of Contents
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :
১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে—
ক) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের তরল অবস্থা
খ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক
গ) অ্যাস্থেনােস্ফিয়ার – পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
ঘ) ভূত্বক – লােহা ও নিকেলের আধিক্য
১.২ রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে –
ক) মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর
খ) মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
গ) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
ঘ) মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
১.৩ উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে –
ক) পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে
ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
১.৪ কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত নিয়ত বায়ু হলাে –
ক) দক্ষিণ-পূর্ব আয়নবায়ু
খ) উত্তর-পূর্ব আয়নবায়ু
গ) দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
ঘ) উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
১.৫ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) বজ্রপাতসহ প্রবল বৃষ্টি — সিরাস মেঘ
খ) জলীয় বাষ্পের জলকণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া – বাষ্পীভবন
গ) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল – পর্বতের প্রতিবাত ঢাল
ঘ) ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বনিম্ন বায়ুচাপ – ঘূর্ণবাতের চোখ
১.৬ পৃথিবীর বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ হলাে –
ক) হরণ
খ) ইরি
গ) সুপিরিয়র
ঘ) মিশিগান
১.৭ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে—
ক) নিরক্ষীয় অঞ্চল – সূর্যের তির্যক রশ্মি
খ) নিরক্ষীয় অঞ্চল- বায়ুর উচ্চচাপ
গ) মেরু অঞ্চল- বায়ুর উচ্চচাপ
ঘ)মেরু অঞল – সূর্যের লম্ব রশ্মি
১.৮ উত্তর আমেরিকার আলাস্কা যে জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত তা হলাে –
ক) ক্রান্তীয় জলবায়ু
খ) লরেন্সীয় জলবায়ু
গ) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
ঘ) তুন্দ্রা জলবায়ু
১.৯ দক্ষিণ আমেরিকার লাপ্লাটা নদী অববাহিকায় অবস্থিত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি হলাে—
ক) গ্রানচাকো
খ) পম্পাস
গ) ল্যানােস
ঘ)সেলভা
২. শূণ্যস্থান পূরণ করাে :
২.১ উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবাহিত একটি স্থানীয় বায়ু হলাে ___লু_______ ।
২.২ কোনাে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমপরিমাণ বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে ____সমবর্ষণ______ রেখার সাহায্যে যুক্ত করা হয় ।
২.৩ দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতের পশ্চিমে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক অঞ্চল ____আটকামা______ মরুভূমি ।
৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে :
৩.১ রাত্রিবেলা স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে সমুদ্রবায়ু প্রবাহিত হয়।
উ:- ভুল
৩.২ আপেক্ষিক আদ্রর্তার সাথে উয়তার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক।
উ:- ঠিক
৩.৩ জুলাই-অগাস্ট মাসে আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।
উ:- ভুল
Class 8 Geography compilation model activity task
৪. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
৪.১ রিখটার স্কেলের সাহায্যে কী পরিমাপ করা হয়?
উ:- ভূমিকম্পের তীব্রতা
৪.২ কোন প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়?
উ:- পাললিক শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়
৪.৩ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত?
উ:- শ্রীলংকা
Class 8 Geography complation model activity task
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে?
উ:- ভূ-অভ্যন্তরের কেন্দ্রমন্ডলে অন্ত: কেন্দ্র মন্ডলের চারদিকে রয়েছে বহি: কেন্দ্রমন্ডল। এই স্তর 2900 কিমি. থেকে 5100 কিমি. পুরু। এই স্তর প্রধানত: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট দ্বারা গঠিত। এই স্তরের তাপমাত্রা খুব বেশি প্রায় 4000 থেকে 5000 সে.। এই স্তরের চাপ, তাপ ও ঘনত্ব বেশি, তবে অন্ত: কেন্দ্র মন্ডলের তুলনায় কম। প্রচণ্ড তাপে ও চাপে এই অংশের পদার্থসমূহ থকথকে বা সান্দ্র অবস্থায় রয়েছে। এই স্তর অর্ধ কঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে চলেছে। সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যা থেকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।
৫.২ পাকিস্তানে জলসেচের সাহায্যে কীভাবে কৃষিকাজ করা হয়?
উ:- পাকিস্তানের কৃষিকাজ মূলত জলসেচের উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তানের জলসেচ প্রধানত খালের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সিন্ধু ও তার উপনদীগুলােতে বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করা হয়েছে। জলাধারগুলাে থেকে একাধিক সেচ খাল কাটা হয়েছে। পশ্চিমের শুষ্ক অঞ্চল গুলােতে মাটির নিচে সুরঙ্গ কেটে ক্যারেজ প্রথার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে জল নিয়ে যাওয়া হয়।
৫.৩ উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি দুগ্ধশিল্পে উন্নত কেন?
উ:- উত্তর আমেরিকার প্রেইরী সমভূমি হল পৃথিবীর দুগ্ধশিল্পে উন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন অনুকূল প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে এখানকার প্রেইরী তৃণভূমিতে অসংখ্য উন্নত মানের দুগ্ধ প্রদায়ী পশু পালন করা হয়, যাদের থেকে প্রাপ্ত দুগ্ধের নির্ভর করে এই অঞ্চলে দুগ্ধ শিল্প উন্নতি লাভ করেছে। নিম্নে উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমির দুগ্ধ শিল্পে উন্নতির কারণগুলি আলোচনা করা হলো-
১)বিস্তীর্ণ তৃণভূমি-পশুপালনের জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তৃণ যুক্ত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি বিশেষ উপযোগী। উত্তর আমেরিকার মধ্যভাগের বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চলে প্রেইরি তৃণভূমি সৃষ্টি হয়েছে, যা এই অঞ্চলের দুগ্ধ প্রদায়ী পশুপালনের তথা দুগ্ধ শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
২)পশুখাদ্যের যোগান-উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমিতে পশু খাদ্যের উপযোগী হে, ক্লোভার, আলফা আলফা ঘাস এবং ভুট্টা, যব, ওট, রাই, জোয়ার ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।ফলে এই অঞ্চলে দুগ্ধ প্রদায়ী পশুপালনের জন্য পশু খাদ্যের অভাব হয় না।
৩)নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু-পশুপালনের জন্য নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু বিশেষ সহায়ক।কারণ এই ধরনের জলবায়ু দুগ্ধ প্রদায়ী পশুপালন এবং বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষণের উপযোগী।উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি অঞ্চলের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় অঞ্চলটি দুগ্ধ শিল্পে উন্নত।
৪)জলের যোগান-পশুপালন ও দুগ্ধ শিল্পে র জন্য যে প্রচুর পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয় তা এখানকার বিভিন্ন নদী ও হ্রদ থেকে সহজেই পাওয়া যায়।
৫)হিংস্র জীব জন্তুর অভাব-উত্তর আমেরিকার প্রেইরী সমভূমি অঞ্চলে হিংস্র জীবজন্তুর উপদ্রব কম হওয়ায় বিভিন্ন দুগ্ধ প্রদায়ী গবাদি পশুপালন ও তাদের রক্ষণাবেক্ষণ সহজ ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ হয়, বা পরোক্ষভাবে এই অঞ্চলে দুগ্ধশিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
৬)উন্নত প্রজাতির পশু পালন-উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি অঞ্চলের বিভিন্ন পশুচারণ ক্ষেত্রগুলিতে জার্সি, ফ্রিজিয়ান, সুইস ব্রাউন ইত্যাদি উন্নত প্রজাতির দুগ্ধ প্রদায়ী গবাদি পশু পালন করা হয়। ফলে এই অঞ্চলে দুগ্ধ শিল্পের প্রয়োজনীয় দুগ্ধের অভাব হয় না।
৭)উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা-দুগ্ধজাত দ্রব্য দ্রুত পচনশীল বলে সেগুলিকে খুব তাড়াতাড়ি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সংরক্ষণ কেন্দ্রে অথবা বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় দুগ্ধ শিল্পের উন্নতি ঘটেছে।
৮)উন্নত সংরক্ষণ ব্যবস্থা-দুগ্ধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য দ্রুত পচনশীল সামগ্রী বলে সেগুলিকে যথাযথ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চলে এই দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষণের উপযোগী অসংখ্য হিমায়ণ যুক্ত সংরক্ষণ কেন্দ্র আছে।ফলস্বরূপ দুগ্ধ শিল্পের উন্নতি ঘটেছে।
৯)পশুজাত দ্রব্যের চাহিদা-উত্তর আমেরিকার প্রেইরী সমভূমিতে পালিত পশুগুলি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশের বাজারে এগুলির ব্যাপক চাহিদা আছে, যা এই অঞ্চলের দুগ্ধ শিল্পের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেছে
৫.৪ সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন?
উ:- বায়ুতে ভাসমান জলীয় বাষ্প ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় সর্বপ্রথম জলকণায় পরিণত হয়। দেড় থেকে তিন কোটি জলকণা যুক্ত হলে তা বৃষ্টিকণায় পরিণত হয়, যা ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। কিন্তু সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না। তার কারণগুলি হল
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে।
উ:- অভিসারী পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারী পাতটি হালকা পাতের নিচে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীকালে ভারী পাতটি ভূগর্ভের উষ্ণতার সংস্পর্শে এসে গলে ম্যাগমায় পরিনত হয় অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়। তাই অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয়।
৬.২ ‘আমাজন অববাহিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য দুর্গম প্রকৃতির’– ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উ:- উত্তরঃ আমাজন নদী অববাহিকা জুড়ে অবস্থিত এই অরণ্য পৃথিবীর বৃহত্তম ও নিবিড়তাম ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য । নিরক্ষরেখার উভয় পাশে বিশেষত আমাজন নদী অববাহিকায় অধিকাংশ স্থান জুরেই ‘ চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি ‘ গড়ে ওঠার কারনগুলি হল i ) এখানে সারাবছর প্রচুর উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত হয় । বার্ষিক গড় উষ্ণতা ২৫ ° সে . – ২৭ ° সে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০ সেমি ৩ . – ৩০০ সেমি । কোনো কোনো স্থানে প্রায় ১০০০ সেমিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয় । ii ) প্রতিদিন বৃষ্টিপাতের ফলে এখানকার গাছগুলোর পাতা বড়ো ও শক্ত । গাছগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় অবণ্যের তলদেশে সূর্যের আলো পৌছাতে পাবে না । যেন মনে হয় অবণ্যের ওপবটা চাঁদোয়ার মতো ঢাকা আছে । এই অরণ্যে বৃক্ষ শ্রেণির গাছের সাথে সাথে লতানো পরজীবী গাছ প্রচুর পরিমাণে জন্মায় । শ্রেণির গাে iii ) সূর্যের আলো পৌঁছাতে না পারায় এই অরণ্যের তলদেশ স্যাতস্যাতে প্রকৃতির । দুর্গম ও অপ্রসুশের সেলো অরছোর এই পরিবরণ ফান , ইরাক , শৈবাল ও বিভিন্ন ধরনের আগাছার সাথে সাথে বিষাক্ত অ্যানাকোনডা সাপ , ট্যারানটুলা মাকড়সা , মাছি মাংসাশী পিঁপেড় , রক্তচোষা বাদুড় , জোঁক প্রভৃতি জীবজন্তু দেখা যায় । ফলে এই অরণ্য মানুষের প্রবেশের পক্ষে দুঃসাধ্য ও দুর্গম প্রকৃতির হয়ে উঠেছে ।
৬.৩ পম্পাস অঞ্চলকে দক্ষিণ আমেরিকার শস্য ভাণ্ডার বলা হয় কেন?
উ:- পম্পাস অঞ্চল হল দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম কৃষি সমৃদ্ধ অঞ্চল। প্রধানত সমতল ভূপ্রকৃতি, নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু, বৃহদায়তন কৃষিজমি, উর্বর পলি মৃত্তিকা ও বায়ুবাহিত লোয়েস মৃত্তিকা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জলসেচ, সুলভ ও দক্ষ কৃষকের যোগান, কৃষিজাত দ্রব্যের চাহিদা ইত্যাদি অনুকূল প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গম, বার্লি, আখ, তামাক, তুলো, তিসি, সোয়াবিন, নানা রকম শাক সবজি ও ফল ইত্যাদি উৎপাদন হয়। বিভিন্ন ধরনের ফসল বা শস্য প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয় বলে পম্পাস অঞ্চলকে দক্ষিণ আমেরিকার শস্য ভান্ডার বলা হয়।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করাে।
উ:- উৎপত্তির বিভিন্নতা অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে সাধারণত দু’ভাগে বিভক্ত করা যায়।
(i) নিঃসারী শিলা ও
(ii) উদ্ বেধী শিলা।
(i) নিঃসারী শিলা: যে ম্যাগমা ভূত্বকের কোন ফাটল ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে তাকে লাভা বলে। এই লাভা ভূপৃষ্ঠে এসে শীতল বাতাসের সংস্পর্শে ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে পড়ে জমাট বেঁধে কঠিন আকার ধারণ করে আগ্নেয় শিলার গঠন করে এরূপে সৃষ্ট আগ্নেয় শিলাকে নিঃসারী শিলা বলে। খুব তাড়াতাড়ি জমে যায় বলে এই জাতীয় শিলার কনা সুুুুুক্ষ্ম হয়। ব্যাসল্ট এই জাতীয় শিলা।
(ii) উদবেধী শিলা: ম্যাগমা কখনো কখনো ভূপৃষ্ঠের উপরে আসতে পারে না, পৃথিবীর অভ্যন্তরে জমাট বেধে যায়, এই জাতীয় শিলাকে উদবেধী শিলা বলে। এই জাতীয় আগ্নেয়শিলায় বড় বড় আকারে দানা জমা হয়। এই শিলা অতি ধীরে ধীরে দৃঢ়ভাবে জমাট বাঁধে সেজন্য এতে ফাটল খুব কম থাকে।
উদবেধী শিলাকে দু’ভাগে বিভক্ত করা যায় পাতালিক ও উপ পাতালিক শিলা।
পাতালিক শিলা – ভূগর্ভের বহু নিচে অনেক বছর ধরে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ খুব ধীরে ধীরে শীতল হয়ে কঠিন হয় তাকে পাতালিক শিলা বলে। ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে শীতল হওয়ায় এদের কনা খুব বড় বড় হয়। গ্রানাইট ও গ্যাব্রো এই জাতীয় শিলা।
উপপাতালিক শিলা: ভূত্বকের কোন দুর্বল অংশে বা ফাটলের মধ্যে ম্যাগমা পাতালিক শিলা অপেক্ষা দ্রুত শীতল হয়, কিন্তু নিঃসারী শিলার মত অত দ্রুত শীতল না হয়, তবে পাতালিক ও নিঃসারী শিলার মধ্যাবস্থার এই জাতীয় শিলাকে উপ পাতালিক শিলা বলে। ব্যাসল্ট এই জাতীয় শিলা।
৭.২ ‘বায়ুচাপ বলয়গুলির অবস্থান পরিবর্তন দুই গােলার্ধের ৩০° থেকে ৪০° অক্ষরেখার মাঝের স্থানগুলির জলবায়ুর উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে’– উপযুক্ত উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করাে।
উ:- বায়ুচাপ বলয়গুলির নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থান পরিবর্তন,দুই গােলার্ধের ৩০° থেকে ৪০° অক্ষরেখার মাঝের স্থানগুলির জলবায়ুর ওপর বিশেষভাবে প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই অঞ্চলগুলােতে গ্রীষ্মকালে আয়নবায়ু এবং শীতকালে পশ্চিমা বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন–
(i) সূর্যের উত্তরায়নের সময় কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়টি উত্তর দিকে সরে যায়। ফলে গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ থেকে আগত উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুর প্রভাবে ভূমধ্যসাগরের সংলগ্ন দেশগুলােতে বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে।
(ii) আবার সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়টি দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়।এরই ফলে শীতকালে এই অংশে জলভাগের ওপর দিয়ে বয়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়।
৭.৩ চিত্রসহ শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করাে।
উ:- উত্তরঃ জলীয়বাষ্পপূর্ণ আদ্রবায়ু ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় বায়ুপ্রবাহের গতিপথে উঁচু পাহাড় – পর্বত – মালভূমি থাকলে বায়ুপ্রবাহ সেখানে বাধা পায় এবং উঁচু পাহাড় – পর্বত – মালভূমির গা বেয়ে উপরে উঠে যায় । উপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে সেই জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পর্বত বা মালভূমির প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত রূপে নেমে আসে । শৈলরাশির অবস্থিতির জন্য বৃষ্টিপাত সংঘটিত হওয়ার দরুন এই বৃষ্টিপাতকে শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে । জলীয়বাষ্প পূর্ণ আর্দ্রবায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি কোনো উঁচু পাহাড় , পর্বত বা মালভূমিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে i ) বায়ু পর্বত বা মালভূমির গা বেয়ে আরও ওপরে ওঠে এবং বগা বেয়ে আরও ওপরে ওঠে এবং উচ্চতা উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ক্রমশ শীতল হয় । ii ) পাহাড়ের উঁচু অংশ যদি বরফাবৃত থাকে তাহলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ওই বায়ু বরফের সংস্পর্শে এসে অথবা উঁচুতে ওঠার ফলে এমনিতেই আরো শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে বা বায়ুমুখী ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়
Class 8 All Subject Model Activity Task Compilation October new
Class 8 Bengali পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 History পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 Geography পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 English পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 Sastho O Sorir Shiksha পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 Poribesh O Biggan পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |
Class 8 Math পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন /Click Here |