January Class 10 Gegraphy Model Activity Task Part-1 2022
Table of Contents
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :
১.১ নীচের যে প্রক্রিয়াটি বহির্জাত প্রক্রিয়া নয় সেটি হলাে—
(ক) আবহবিকার
(খ) নগ্নীভবন
(গ) অগ্ন্যুদগম
(ঘ) পুঞ্ছিত ক্ষয়
১.২ যে প্রক্রিয়ায় নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ড পরস্পরের সংঘর্ষের ফলে ভেঙে গিয়ে নুড়ি, বালি প্রভৃতিতে পরিণত হয় তাকে বলে—
(ক) অবঘর্ষ ক্ষয়
(খ) দ্রবণ ক্ষয়
(গ) জলপ্রবাহ ক্ষয়
(ঘ) ঘর্ষণ ক্ষয়
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করাে —
(ক) নদীর অধিক নিম্নক্ষয়—প্লাবনভূমি
(খ) নদীর অধিক পার্শ্বক্ষয়—গিরিখাত
(গ) নদীর গতিপথে কঠিন শিলার নীচে কোমল শিলার অবস্থান—জলপ্রপাত
(ঘ) নদীর উচ্চগতিতে অধিক ক্ষয়কাজ—বদ্বীপ।
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে:
২.১.১ মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে পেডিমেন্টের সম্মুখে গড়ে ওঠা সঞ্জয়জাত ভূমিরূপ হলাে ______বাজাদা________ l
২.১.২ নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে নদীখাতে সৃষ্টগর্ত হলাে _____মন্থকূপ (Put Hole)_________ l
January Class 10 Gegraphy Model Activity Task Part-1 2022
২.২ ‘ক স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ স্তম্ভ মেলাও :
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
২.২.১. নদীর ক্ষয়, বহন ও সঞ্জয় কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ | ৩. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ |
২.২.২. হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ | ১. এরিটি |
২.২.৩. বায়ুর অপসারণ সৃষ্টগর্ত | ২. ব্লো-আউট |
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ মরুদ্যান কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উ:- মরু অঞ্চলে বাযুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কোন একটি অঞ্চলের বালিরাশি অপসারিত হতে থাকলে অঞ্চলটি ক্রমশ অবনমিত হয়ে পড়তে পড়তে একসময় ভৌমজলস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে ওই স্থানে জলাশয় সৃষ্টি হয় এবং ক্রমশ উদ্ভিদ জন্মে অঞ্চলটিতে মনােরম পরিবেশ তৈরী হয়। শুষ্ক মরু অঞ্চলের মধ্যে এরকম ভাবে মরুদ্যান সৃষ্টি হয়। উদাঃ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধ একটি আদর্শ মরুদ্দ্যান।
৩.২ ‘উঁচু পার্বত্য উপত্যকায় ক্রেভাসের উপস্থিতি পর্বতারােহীদের সমস্যার অন্যতম কারণ।’—সংক্ষেপে এর ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উ:- পর্বত ও হিমবাহের গাযে যে অসংখ্য ক্রেভাস থাকে সেগুলি পর্বতারােহীদের অভিযানের পথে বাধার সৃষ্টি করে। অনেক সময় এই ফাটলগুলিতে পর্বতারােহীরা পড়ে গিযেও প্রাণ হারান অথবা মারাত্মক চোট পান।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
মরু সম্প্রসারণ রােধের তিনটি উপায় উল্লেখ করাে।
উ:- মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ রােধের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সেগুলি হল —
i) বৃক্ষরােপণ : মরু সম্প্রসারণ রােধের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদনের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে এবং মরুভূমির প্রান্তে খরা সহনশীল বৃক্ষ ও লতাগুল্ম রােপনের দ্বারা গ্রিণ ওয়াল তৈরি করে চলনশীল বালিয়াডিগুলিকে স্থিতিশীল করতে হবে।
ii)তৃণম্ভর সৃষ্টি : মরুভূমির সম্প্রসারণের জন্য মরু অঞ্চলের অগভীর বালিস্তরে খরা প্রতিরােধী ঘাস লাগিয়ে কৃত্রি তৃণস্তর সৃষ্টি করা যেতে পারে। কারণ এই তৃণস্তর মরু অঞ্চলের শিখিল বালিকে ঢেকে দেয় বলে ওই বালির এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যাওয়ার সম্ভবনা হ্রাস পায়।
iii) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : মরুভূমির প্রান্তে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পশুচারণ করলে তাদের পায়ের খুরের আঘাতে মৃত্তিকার উপরিভাগ থেকে তৃণস্তুর অপসারিত হয়ে যায়। ফলে মরুভূমির সম্প্রসারণ ঘটে। তাই মরু সম্প্রসারণ রােধের জন্য পশুচারণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
ঝুলন্ত উপত্যকা ও রসে মতানে সৃষ্টির প্রক্রিয়ার সচিত্র বিবরণ দাও।
উ:-
ঝুলন্ত উপত্যকা : উপত্যকা হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging valley) হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ। নদী অববাহিকায় উপনদীগুলি যেমন মূল নদীতে এসে মিলিত হয় তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে ছােটো ছােটো উপ হিমবাহগুলি প্রধান হিমবাহের সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে। অধিক ক্ষয়কার্যের ফলে প্রধান হিমবাহ উপত্যকাটি ছােটো ছােটো হিমবাহ উপত্যকাগুলির তুলনায় অনেক বড়াে ও গভীর হয়। এই অবস্থায় হিমবাহ সরে গেলে মনে হয় যেন ছােটো ছােটো হিমবাহ উপত্যকাগুলি প্রধান হিমবাহ উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তখন একে ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) বলা হয়।
ঝুলন্ত উপত্যকা থেকে হিমবাহ সরে গেলে এর প্রান্তভাগে গভীর খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। তখন উপহিমবাহ উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদী এই খাড়া ঢাল বেয়ে প্রবলবেগে নীচের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে।
উদাহরণ:- ভারতের গাড়ােয়াল হিমালযের বদ্রীনাথের কাছে নর পর্বতের নীচের দিকে কুবের উপত্যকা এইরকম ঝুলন্ত উপত্যকার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

রসে মতানে : অনেক সময় উপত্যকার মধ্যে উঁচু ঢিবির মতাে কঠিন শিলাখন্ডের ওপর দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয়। অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে হিমবাহের প্রবাহের দিকে অর্থাৎ প্রতিবাত ঢালে শিলাখন্ডটি মসৃণ ও চকচকে হয়ে ওঠে এবং বিপরীত দিকটি অনুবাত ঢালে উৎপাটন প্রক্রিয়ায় অমসৃণ ও খাঁজকাটা হয়ে যায়। পার্বত্য হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে শক্ত শিলাখন্ডে গঠিত একদিকে মসৃণ এবং আর এক দিকে এবড়ােখেবড়াে এইরকম শিলাখন্ড বা ঢিবিকে রসে মতানে বলা হয়। রসে মনে হল পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কাজের একটি উল্লেখযােগ্য নিদর্শন।

You May
also Like These….. |
||
Class-10 All Subject Answers Links |
||
– |
– |
|