ভারতের জনগােষ্ঠী |বিষয়শ্রেণীর- ভারতের জাতিগোষ্ঠী |ভারতের জনগোষ্ঠী ও তাদের বিবর্তন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো|The Various Races of India|
প্রিয় পাঠকগন,
আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, The Various Races of India PDF Download , এই পোস্টের মাধ্যমে ভারতের জনগোষ্ঠী ও তাদের বিবর্তন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা আছে যা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরিক্ষা যেমন- WBCS, Railway Exam, PSC Exam, Group D Group SSC, ICDS, POLICE সহ বিভিন্ন চাররির পরিক্ষায় আসে। তাই আমাদের আসা এই তালিকাটি আপনারা যারা বিভিন্ন চারকির পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের খুবই কাজে আসবে।
বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন জাতি এই ভারতীয় উপমহাদেশে এসে বসবাস করেছে। এই আগন্তুক জাতিগুলি পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের দ্বারা ভারতীয় মহাজাতিতে মিলিত হয়ে ভারতীয় মহাজাতিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের জনগােষ্ঠীতে বহু জাতির মিলন আলাদাভাবে কোন জাতিগােষ্ঠী খুঁজে বের করা শক্ত।
উত্তর ভারতকে আর্য জাতির প্রধান বাসস্থান বলে মনে করা হলেও খাঁটি আর্যজাতির অস্তিত্ব এখন ভারতে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জনগােষ্ঠীর সঙ্গে মিলনের ফলে আর্যজাতির আদি বিশুদ্ধতা রক্ষা করা সম্ভব হয় নি। নৃতাত্ত্বিক পণ্ডিতেরা চোয়ালের গঠন, মাথার খুলির গঠন ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনের ভিত্তিতে ভারতীয় জনগােষ্ঠীকে কয়েক ভাগে ভাগ করেন যথা:
১) প্রােটো-অস্ট্রালয়েড
২) ভূমধ্যসাগরীয় বা মেডিটারেনিয়ান
৩) আলপাইন এবং
৪)মােঙ্গোলীয়।
প্রাক-ঐতিহাসিক হরপ্পা-মহেঞ্জোদারাে যুগ থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ভারতের নানা স্থানে এই চারটি গােষ্ঠীর লােক দেখতে পাওয়া যায় এছাড়া দেহের গঠন ও ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় জনগােষ্ঠীকে আরও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়; যথা-
১) আর্য বা আর্য গােষ্ঠীর লোকঃ- এদের ভাষা সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বাংলা, হিন্দী, গুজরাটী, গুরুমুখী, মারাঠী প্রভৃতি ভারতীয় ভাষাগুলি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত। আর্য গােষ্ঠীর লােকের গায়ের রং ছিল গৌর, নাক ছিল উঁচু, চেহারা ছিল লম্বা, চোখের গঠন ছিল আয়ত।
২) দ্রাবিড় গােষ্ঠীঃ- তামিল, তেলেগু, মালয়ালী ও কানাড়ী ভাষা হল দ্রাবিড় গােষ্ঠীর ভাষা। এই সকল ভাষার হরফ, সংস্কৃত বা দেবনাগরী বা ব্রাহ্মী হরফ থেকে আলাদা। দ্রাবিড় গােষ্ঠীর লােকের গায়ের রং হল কালাে, মাথার চুল অনেক সময় কোকড়ান। এদের কপাল চওড়া। এদের উচ্চতা মাঝারি।
৩) ভারতের আদিবাসী জনগােষ্ঠীঃ এদের ভাষা সংস্কৃত বা দ্রাবিড় ভাষা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এদের ভাষার কোন নির্দিষ্ট লিপি নেই। অধুনা অনেকে বলেন যে, অধুনা আলচিকি লিপি হল আদিবাসী জনগােষ্ঠীর লিপি। সাঁওতাল, কোল, ভীল, মুণ্ডা, হাে প্রভৃতি জাতি আদিবাসী শ্রেণীর অন্তর্গত। এদের গায়ের রং ঘাের কালাে চোয়াল চওড়া, নাক চাপা। এরা সাধারণতঃ অরণ্য অঞ্চলে বাস করতে ভালবাসে।
৪) মােঙ্গোলীয় জনগােষ্ঠীঃ- মােঙ্গোলীয় জনগােষ্ঠীর ভাষা সংস্কৃত বা দ্রাবিড় গােষ্ঠীর ভাষা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এদের আকৃতিও ভারতের অন্যান্য জনগােষ্ঠী থেকে আলাদা। এদের গায়ের রং হলুদ বা তামাটে, নাক চাপা, চোখের আকৃতি ছােট। এদের দেহের উচ্চতা মাঝারি। পূর্ব ভারতে অর্থাৎ নাগা, লুসাই, আসাম ও হিমালয়ের তরাই অঞ্চলে মােঙ্গোলীয়রা বসবাস করে।
রিজলে কমিশনের ভিত্তিতে ভারতের জনগোষ্ঠী
১৯০১ খ্রিঃ লােকগণনা (census)-র কালে কমিশনার হাবার্ট রিজলে সর্বপ্রথম নৃতত্ত্ব সম্বন্ধীয় তথ্য জোগাড় শুরু করেন। স্যার হার্বাট রিজলে তার “The people of India” গ্রন্থে (১৯০৮ খ্রিঃ) ভারতীয় জনগােষ্ঠীর সাতটি বিভাগের কথা উল্লেখ করেছেন।
সেগুলি হল –
(১) দ্রাবিড়
(২) তুর্কো ইরানি
(৩) সিলাে-দ্রাবিড়িয়ান
(৪) ইন্দো-আর্য
(৫) আর্য-দ্রাবিড় বা হিন্দুস্থানী গােষ্ঠী
(৬) মােঙ্গল-দ্রাবিড় গােষ্ঠী
(৭) মােঙ্গলয়েড গােষ্ঠী।
জনগোষ্ঠী | বর্তমানে অবস্থান | আদি নিবাস | দৈহিক বৈশিষ্ট্য |
জনগােষ্ঠী (১) নেগ্রিটো বানিগ্রোবট (Negrito) | আন্দামান,নিকোবর, কোচিন, ত্রিবাঙ্কুর, বিহারের রাজমহল পার্বত্য অঞ্চলে, অসম, দক্ষিণ ভারতের আদি অধিবাসী। | আফ্রিকা (নিগ্রোজাতি) | * গায়ের রং কালাে।* মাথার চুল কোঁকড়ানাে *ঠোট পুরু ওলটানাে, নাক চ্যাপটা,খর্বাকৃতির হয়।* খর্বাকৃতির হয়। |
(২) মােঙ্গলীয় বা মােঙ্গালয়েড (Mongoloid) | অসম, চট্টগ্রাম, ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চল, সিকিম, নেপাল, ভুটান পার্বত্য অঞ্চলের কোচ, পলিয়া, বাহে, রাজবংশী, লেপচা, ভােট, চাকমা, বােড়াে, গারাে, খাসিয়া, কুকি প্রভৃতি উপজাতি গােষ্ঠী। | মধ্যএশিয়া (মােঙ্গল উপজাতি) | * গায়ের রং হলুদ বর্ণের* বাঁকা চোখ মুখমণ্ডল ও সারা শরীর লােমহীন এবং চ্যাপটা নাক* খর্বাকৃতির হয় * মাথার চুল শক্তপােক্ত |
(৩) প্রােটো অস্ট্রালয়েড বা আদি অস্ট্রেলিয় (Proto Australoid) | মধ্যভারতের কোল, ভীল,মুণ্ডা, করােয়া, খারােয়ার, ভুমিজ, মালপাহাড়ি, চেঞ্জু, কুরুব, সাঁওতাল, বাঁশফোড়,প্রভৃতি আদিবাসী জনগােষ্ঠী | অস্ট্রেলিয়া | * গায়ের রং কালাে। নাসিকা মােটা মাঝারি* কপাল চওড়া এবং মাথার চুলতামাটে, মুন্ড দীর্ঘ * নাক উঁচু ও দীর্ঘ* খর্বাকৃতির হয়। |
(৪) মেডিটেরানিয়ান বা ভূমধ্যসাগরীয় (Mediterranea | সিন্ধু, পাঞ্জাব, রাজপুতানা, হিমাচলপ্রদেশ, কেরল, অপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জনগােষ্ঠী। | ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে | * গায়ের রং হাল্কা ফর্সা, দেহকৃশ* নাক উঁচু ও দীর্ঘ * চুল ঘন কালাে* আকৃতিতে মধ্যম থেকে দীর্ঘ। |
(৫) ওয়েস্টার্ন ব্রাকি সিফেলস বা প্রশস্ত শির (Western Brachicephellus | বাংলা, বিহার, ওড়িশা, বােম্বাই, গুজরাট, কাথিয়াবাড় অঞ্চল, কানাড়া ভাষাভাষী অঞ্চলে। | মধ্যএশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, সম্ভবত পামির মালভূমি, তাকলামাকান মরুভূমি, আল্পস পর্বত ও পূর্ব ইউরােপ থেকে | * চওড়া মাথা বিশিষ্ট* গায়ের রং কালাে ও ফর্সা হয় * নাক চ্যাপটা হয়। |
(৬) নর্ডিক বা আর্যজাতি (The Nordics or Aryans) | পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, রাজপুতানা, গাঙ্গেয় উপত্যকা, উত্তর পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশ। | উত্তর ইউরােপ বিশেষতঃ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অধিবাসী নির্ডিক নামে পরিচিত। | * এরা দীর্ঘকায়, মুখাবয়ব সুগঠিত * উন্নত নাসিকাযুক্ত* গায়ের রং গৌরবর্ণ* সােনালি চুল, নীলাভ চোখ। |
(৭) দ্রাবিড় গােষ্ঠী (ভারতের সুপ্রাচীন জনগােষ্ঠী) (The Dravidian | দক্ষিণ ভারত | ভারতের আদিবাসিন্দা, অনেকের মতে ভূমধ্যসাগরীয় পশ্চিম এশিয়/ মধ্য এশিয় বা তুরাণ এবং ব্বিত | * গায়ের রং কৃষ্ণকায় * মাথার চুল অনেক সময় কোকড়ানাে * কপাল চওড়া * উচ্চতা মাঝারি। |
- বিভিন্ন মন্দির তার প্রতিষ্ঠাতা এবং অবস্থান সম্পর্কিত তালিকা
- বিভিন্ন খেলা ও খেলোয়াড় সংখ্যা – এর তালিকার PDF Download
File Details | |
File Name/Book Name | ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী |
File Format | |
File Language | Bengali |
File Size | 190 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link | Click Here to Download PDF File |